ফিলিস্তিনে হামলার নিন্দা এবং করোনা থেকে মুক্তির প্রার্থনার মধ্যদিয়ে রাজধানীর মসজিদে মসজিদে ঈদের জামাত - MB TV

ফিলিস্তিনে হামলার নিন্দা এবং করোনা থেকে মুক্তির প্রার্থনার মধ্যদিয়ে রাজধানীর মসজিদে মসজিদে ঈদের জামাত

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ মে ১৪, ২০২১ | ১০:৫৫ 130 ভিউ
ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ মে ১৪, ২০২১ | ১০:৫৫ 130 ভিউ
Link Copied!

নিউজ ডেস্ক :

মহামারির কারণে এবার ঈদগাঁহে হয়নি ঈদের নামাজ। সরকারি নির্দেশনায় পাড়া-মহল্লার মসজিদে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মসজিদগুলোয় যতোটা সম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মানার চেষ্টা করেছেন মসজিদ কমিটিগুলো। তবে শারীরিক দূরত্ব মানা হয়নি তেমনটা।

আর ঈদের নামাজ শেষে সৌহার্দ্য বিনিময় বা কোলাকোলি, হ্যান্ডশেক করার দৃশ্য খুব একটা দেখা যায়নি। তবে আনন্দের কমতি ছিল না শিশু-কিশোরদের মধ্যে। শুক্রবার (১৪ মে) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদে ঈদের নামাজে এমনটাই দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল ৭টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

রাজধানীর মগবাজার এলাকার বিভিন্ন মসজিদে পবিত্র ঈদুর ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল সাড়ে সাতটা থেকে মগবাজার চৌরাস্তা জামে মসজিদ, মগবাজার চান জামে মসজিদ, মগবাজার ওয়ারলেস জামে মসজিদসহ এলাকার বিভিন্ন মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এসব জামাতে মুসল্লিরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে অংশ নেন। বিভিন্ন মসজিদে মোনাজাতে করোনা মহামারি থেকে মুক্তি ও দেশের শান্তি কামনা করা হয়।

পুরান ঢাকায় কলতাবাজার বড় মসজিদে সকাল ৮টায়, কলতাবাজার ছোট মসজিদে সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মুসল্লিা যথা সম্ভব মাস্ক পরে মসজিদে আসেন। মসজিদ কর্তৃপক্ষ জীবাণুনাশক দিয়ে মুসল্লিদের হাত স্প্রে করে দিয়েছেন। মসজিদে অনেকেই বাসা থেকে জায়নামাজ নিয়ে এসেছেন। তবে শারীরিক দূরত্ব মানা হয়নি। আর নামাজ শেষে কোলাকুলি করেছেন কিছু সংখ্যক মুসল্লি।
সকাল ৮টায় মিরপুরের শেওড়াপাড়া বাইতুস শাকুর জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মুসল্লিরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের নামাজে অংশ নেন। আর সকাল সাড়ে ৮টায় তোরাব আলী জামে মসজিদ ও শেওড়াপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ঈদের একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

বিজ্ঞাপন

মসজিদ দুটিতে মুসল্লিরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের নামাজ আদায় করেন। তবে অধিকাংশ মুসল্লি হাত মেলানো এবং কোলাকুলি থেকে বিরত থাকেন। এক্ষেত্রে শিশু কিশোররা বিরত থাকতে পারেননি। একে অপরকে জড়িয়ে তারা ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিয়েছেন। এরপর অনেক মুসল্লিকে মৃত বাবা-মা আত্মীয় স্বজনদের কবর জিয়ারত করতে দেখা গেছে।

নামাজ শেষে ফিলিস্তিনে হামলার নিন্দা এবং করোনা থেকে মুক্তির জন্য প্রার্থনা করা হয়।

বিষয়ঃ