স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত,সংক্রমণ বৃদ্ধির শঙ্কা
এই মুহূর্তে মার্কেটে বন্ধ করে দেওয়া না হলে ঈদ পরবর্তী পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ
আহমেদ সব্বির রোমিও :
চলমান সর্বাত্মক লকডাউনে ব্যবসায়ী ও শ্রমজীবী মানুষের কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দিয়েছে সরকার। তবে কঠোর বিধিনিষেধেও স্বাস্থ্যবিধি তোয়াক্কা না করে মার্কেটগুলোতে ভিড় করছে ক্রেতারা। ফুটপাত কিংবা মার্কেটের ভিতরে ক্রেতাদের দেখা যাচ্ছে উপচে পড়া ভিড়।
এরই মাঝে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চাইছে রাত ১২ পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখতে । অপর দিকে সাধারন মানুষের মনে আতঙ্ক এই মুহূর্তে দোকানপাট মার্কেটগুলো বন্ধ করে দেওয়া না হলে ফের সংক্রমণ বৃদ্ধির শঙ্কা রয়েছে । গবেষক ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনার নতুন যে ভ্যারিয়েন্টের কথা আমরা বলছি সেটা তিনগুণ বেশি শক্তিশালী। সাউথ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্ট থেকে কলকাতা যে ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণ হচ্ছে সেটা আরও ভয়ংকর।
আমাদের দেশে একবার ছড়িয়ে গেলে সেটা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। এই মুহূর্তে মার্কেটে দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ করে দেওয়া না হলে ঈদ পরবর্তী পরিস্থিতি হবে চরম ভয়াবহ । এই বিষয়ে মতামত জানতে চাওয়ার জন্য বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন সাথে অনেক বার যোগাযোগ করা হলেও ব্যস্ততা কারণ দেখিয়ে তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি এড়িয়ে যান ।
এর আগে গত সোমবার (৩ মে) রাজধানী মহাখালীতে ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানে
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, মার্কেটে ক্রেতা-বিক্রেতা মাস্ক না পরলে দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে। তিনি ব
লেন, চলমান লকডাউনে ব্যবসায়ীদের লোকসানের কথা বিবেচনা করে দোকানপাট খুলে দিয়েছে সরকার। তার আগে স্বাস্থ্যবিধি মানবেন বলে লিখিত দিয়েছেন দোকান মালিকেরা। এখন ডিএনসিসি এলাকার মার্কেটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে মাইকিং করা হচ্ছে। অনেক সময় ক্রেতা-বিক্রেতা দোকানে মাস্ক ছাড়া অবস্থান করছেন।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন সংক্রমণ কমলেও স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে অবহেলা করলে ফের সংক্রমণ বাড়তে পারে। তাই প্রতিহত নয়, করোনা প্রতিরোধ করা জরুরি। সে জন্য শতভাগ মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। বিধিনিষেধ মানতে হবে। রাজধানীর নিউমার্কেট গেলে দেখা যায় ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। ফুটপাতে ও মা
র্কেটের ভিতরের দোকানে অনেকে ক্রেতা-বিক্রেতা মাস্ক ছাড়াই অবস্থান করছেন। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাঁ ঘেঁষাঘেঁষি করে কেনাকাটা করছেন। ফুটপাতের দোকানগুলোতে অধিকাংশ ক্রেতাদের মুখে মাস্ক নেই। চন্দ্রিমা মার্কেট, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড ও বসুন্ধরা সিটি শপিংমলে গেলে একই চিত্র দেখা যায়। নিয়ম মেনে শপিংমলে ঢুকতে দেখা গেলেও মার্কেটের ভিতরে এর উলটো চিত্র। জটলা বেধে চলাচল করতেও দেখা গেছে।