ঠাকুরগাঁওয়ে স্ত্রীর গায়ে আগুন দেওয়ার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে
ডেস্ক নিউজ
Link Copied!
মোঃওয়াদুদ হোসেন,ঠাকুরগাঁও :
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় মারপিটের পর স্ত্রীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
গৃহবধূকে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসক।
তবে তার স্বামী সাদেকুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সাদেকুলবালিয়াডাঙ্গি উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের ছোট সিঙ্গিয়া গ্রামের পজির উদ্দীনের ছেলে।
চিকিৎসাধীনঅবস্থায় গৃহবধূ (৩৫) শনিবার দুপুরে বলেন, প্রায় ১৮ বছর আগে সাদেকুল ইসলামের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
১৮ বছর ধরে আমাকে সময়-অসময় মারপিট করে সাদেকুল। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা একাধিকবার সালিশ-বৈঠক করেছেন। তার পরও আমার ওপর নির্যাতন কমেনি। তাদের দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।
গৃহবধূ বলেন, মঙ্গলবার বিকালে বাড়ি ফিরে কোনো কারণ ছাড়াই সাদেকুল আমাকে মারপিট শুরু করে। যেহেতু রোজা ছিলাম, তাই এর কোনো প্রতিবাদ করিনি। পরদিন বুধবার সকালে আমার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় সাদেকুল।
পরে পরিবারের লোকজন তাকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে আনা হয়।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা রকিবুল আলম চয়ন বলেন, গৃহবধূর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। শরীরের পেছনের ১৫ শতাংশ ঝলসে গেছে। তাকে আমরা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছি।
আগুনে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাদেকুল।
তিনি বলেন, আমি আমার স্ত্রীর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেই নাই। সে ঘরের দরজা বন্ধ করে নিজেই তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এখন আমাকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে।
তবে এর আগে তিনি স্ত্রীকে মারপিট করার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মাঝেমধ্যেই এসব হত। এগুলো তো স্থানীয়ভাবে আপোষ হয়েছে।
এ বিষয়ে এখনও থানায় অভিযোগ দেয়নি গৃহবধূর পরিবার।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি মো. হাবিবুল হক প্রধান বলেন, গৃহবধূর শরীরে তার স্বামী আগুন ধরিয়ে দিয়েছে এ ধরনের কোনো লিখিত অভিযোগ কেউ দেয়নি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।