বসুরহাটে সংঘর্ষের ঘটনায়  সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাদল গ্রেপ্তার, কাদের মির্জা নজরদারিতে  - MB TV

বসুরহাটে সংঘর্ষের ঘটনায়  সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাদল গ্রেপ্তার, কাদের মির্জা নজরদারিতে 

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ মার্চ ১২, ২০২১ | ১:০২ 139 ভিউ
ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ মার্চ ১২, ২০২১ | ১:০২ 139 ভিউ
Link Copied!

নিউজ ডেস্ক : 

নোয়াখালীর বসুরহাটে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে। পৌর মেয়র কাদের মির্জাও নজরদারিতে আছেন বলে জানা গেছে। তবে, যুবলীগ-কর্মী আলাউদ্দিন হত্যার ঘটনায় তিনি দুষছেন পুলিশকে।

 

বিজ্ঞাপন

নোয়াখালীর বসুরহাটে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান যুবলীগ-কর্মী আলাউদ্দিন। এছাড়াও ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হন অন্তত কয়েকশ।

 

সংঘর্ষের ঘটনায় বুধবার ৯৮ জনের নামসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরো দেড়শো জনের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা হয়। বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার হন কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল। নজরদারিতে রাখা হয়েছে পৌর মেয়র কাদের মির্জাকেও। তবে, আলাউদ্দিন হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবি করে, ঘটনার জন্য পুলিশকে দায়ী করেছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

 

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন জানান, বিকালে প্রেসক্লাব এলাকা থেকে মিজানুর রহমান বাদলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একাধিক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

 

বাদলের স্ত্রী সেলিনা আক্তার কাকুলি সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার দুপুরে মিজানুর রহমান বাদল জেলা শহর মাইজদী যান। বিকালে একদল সাদা পোশাকধারী পুলিশ জেলা প্রেসক্লাবের সামনে থেকে তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। মিজানুর রহমান বাদলের সঙ্গে থাকা চরএলাহী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক জানান, মিজানুর রহমান বাদল এবং তিনি বিকালে প্রেসক্লাবের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় কয়েকজন সাদা পোশাকধারী ডিবি পুলিশ বাদলকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।

 

এদিকে নোয়াখালীর বসুরহাটে যুবলীগ-কর্মী আলাউদ্দিনকে হত্যার ঘটনায় পুলিশকে দুষলেন পৌর মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা। সকালে বসুরহাটে নিজ কার্যালয়ে এ অভিযোগ করেন তিনি। এসময় কাদের মির্জা হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান। পাশাপাশি কি কারণে এই হত্যাকাণ্ড তা খতিয়ে দেখারও আহ্বান জানান তিনি।

 

বসুরহাটে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে হতাহতের পর আর কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে পরিস্থিতি। তবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চট্টগ্রাম রেঞ্জের সাড়ে ৩ শতাধিক সদস্য মোতায়েন রয়েছে বসুরহাটে। এদিকে, সংঘর্ষের ঘটনায় বুধবার ৯৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত দেড়শো জনের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা করে পুলিশ। সংঘর্ষের পর থেকে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

 

গেল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান যুবলীগ-কর্মী আলাউদ্দিন। এছাড়া দুপক্ষের ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন।

বিষয়ঃ