কক্সবাজার সমিতির আজীবন সদস্য, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা, মেজর জেনারেল (অবঃ) রুহুল আলম চৌধুরী আজ শনিবার ২০ মার্চ বেলা ১১টা ১৫ মিনিটের দিকে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন।

(ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ বাদ আছর বনানির সামরিক কবরস্থানে মরহুমকে সমাহিত করা হবে।

মৃত্যুকালে মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী স্ত্রী, ১ পুত্র, ১ কন্যা সন্তানসহ অনেক অনুসারী, গুণগ্রাহী রেখে যান।

তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন কক্সবাজার সমিতি। সমিতির সভাপতি হেলালুদ্দীন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম স্বাক্ষরিত শোক বার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্নার মাঘফেরাত কামনা করা হয়েছে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে।

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের দক্ষিণ মগনামা গ্রামের জমিদার বাড়ির মরহুম ছিদ্দিক আহমদ চৌধুরী ও আসমা খাতুন সন্তান মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী ১৯৪৭ সালের ২৪ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি ১৯৬৬ সালে পাকিস্তান সামরিক একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ শেষে আর্মাড কোরে যোগদান করেন। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্মাড কোরের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও এ কারের প্রথম পরিচালক। এছাড়া তিনি কর্মরত থাকা অবস্থায় মাস্টার জেনারেল অব দ্য অর্ডন্যান্স ছিলেন। এরপূর্বে তিনি বিভিন্ন সময় ২৪তম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল স্টাফ অফিসার (অপারেশন্স), প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর, বিডিআর, মায়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামরিক উপদেষ্টা, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯৮ সালে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হলে তিনি উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান এবং কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে ১১ জানুয়ারি ২০০৭ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।