আনিছ আহমেদ শেরপুর প্রতিনিধিঃ
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে আব্দুর রহমানের পৈতৃক কৃষি জমি অবৈধভাবে দখল করতে গিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৮ আগস্ট) সকালে উপজেলার পূর্ব ধানশাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, পুর্ব ধানশাইলের মৃত আফছার আলীর পুত্র আব্দুর রহমান এবং পার্শ্ববর্তী চাপাঝোড়া গ্রামের মৃত সৈয়দ জামালের ছেলে যুবলীগ নেতা আকরাম হোসেনের মধ্যে জমির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। তাদের বিরোধের কেন্দ্র ছিল ধানশাইল মৌজার ৪৬৪০ নম্বর দাগ এর প্রায় ৪১ শতাংশ জমি।
জমিগুলোর ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হন মৃত আফছার আলীর স্ত্রী জহুরা খাতুন এবং তাদের তিন ছেলে ও চার মেয়ে। তারা হলেন, আব্দুর রহমান, নজরুল ইসলাম, নুরুজ্জামান, আমেনা খাতুন, আম্বিয়া খাতুন, আউলিয়া খাতুন এবং শান্তি খাতুন। এদের নামে জমির মালিকানা নিশ্চিত করে ভূমি উন্নয়ন করও পরিশোধ করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র মতে, আকরাম হোসেন জমির প্রকৃত মালিক না হয়েও তিনি মালিকানা দাবি করে জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে গত ৯ আগস্ট ২০২৩ সালে
আদালতে ১৪৪ ধারা জারি করে।
২১ আগস্ট ২০২৪ সালে প্রত্যহার করে দ্বিতীয় পক্ষকে অব্যাহতি প্রদান করে আদালত। এ অবস্থায় আব্দুর রহমান তার ওই জমিতে ধান চারা রোপণ করেন।
ঘটনার দিন সকালে জমির মালিকানা নিয়ে বিবাদ মেটাতে আব্দুর রহমানের বাড়ির সামনে আলোচনা বসে। আলোচনায় সাবেক ইউপি সদস্য চান মিয়াসহ উভয় পক্ষের লোকজন এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
কিন্তু আকস্মিকভাবে আকরাম হোসেনের নেতৃত্বে প্রায় ৩০-৩৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল লাঠিসোঁটাসহ দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে ধানক্ষেতে অনুপ্রবেশ করে এবং আব্দুর রহমান ও তার লোকজনকে ডেকে নিয়ে ধাওয়া করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আব্দুর রহমানের পক্ষও তাদের পাল্টা ধাওয়া দেয়। তবে উভয় পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা হলেও কোনো প্রকার ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে যুবলীগ নেতা আকরাম হোসেনের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে ধানশাইল ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, “জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার খবর শুনেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সকলকে শান্ত থাকতে বলা হয়েছে। আমরা চাই এই সমস্যার একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান হোক।