দিনব্যাপী এ কার্যক্রমে সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ও দুই লাখ ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৮টায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন রাজধানীর মহাখালীতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন (নিপসম) কার্যালয়ে ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করবেন।
একই সময় সব বিভাগ, জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা নিজ নিজ টিকাকেন্দ্রে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কেন্দ্রে আসা শিশুদের একটি করে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
তবে ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় এলাকার প্রায় এক হাজার ২২৪ কেন্দ্রে আজ ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে না।
গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আজ সারাদেশে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা ছিল। কিন্তু উপকূলের যেসব এলাকায় বন্যা আক্রান্ত হয়েছে সেখানে আপাতত কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। অবস্থা ভালো হলে তাদের এ ক্যাপসুল দ্রুতই খাওয়ানো হবে।
ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের উপকারিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খেলে শিশুর অন্ধত্ব প্রতিরোধ হয়। শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। সব ধরনের মৃত্যুর হার ২৪ শতাংশ হ্রাস করে। এ ছাড়া হাম, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার কারণে মৃত্যু উল্লেখযোগ্য হারে কমে।
তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পেইনে ৬ মাস পূর্ণ বয়সি শিশুদের মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণ মতো ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোর বার্তা প্রচার করা হবে।