সলঙ্গায় কৃষকের ছেলে শাহিনুরের সাফল্যে এলাকায় খুশির বন্যা

এপ্রিল ৮, ২০২১ | ৪:১৯ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , এমবি টিভি

শেখ মাহবুব সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস কোর্সের প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় মেধাক্রমে ৯১২ তম হয়ে ময়মনসিংহ  মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ  পেয়েছেন সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানা পাটধরী  গ্রামের মোঃ শাহিনুর রহমান ।
রাজশাহী  সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্র থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১০০ নম্বরের মধ্যে তিনি পেয়েছেন ৭৫.৫ নম্বর। এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণের ফলাফল ঘোষণার পর শাহিনুর রহমানের  পরিবার ও পাটধারী গ্রামজুড়ে বইছে খুশির বন্যা।
অদম্য ইচ্ছাশক্তিই সফলতার পথ দেখিয়েছে শাহিনুরকে। শিক্ষাজীবন জুড়েই আর্থিক দুশ্চিন্তা ছিল শাহিনুর রহমানের  নিত্যসঙ্গী। মেধার জোরে সব বাধা জয় করে মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়ে তিনি।
শাহিনুর সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের পাটধারী গ্রামের মোঃ খলিলুর রহমান মন্ডলের  ছেলে। তিন সন্তানের মধ্যে শাহিনুর  একমাত্র ছেলে ।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি শাহিনুরের বাবা একজন কৃষক। বাড়িতে রয়েছে একটি টিনের ঘর। সেই একটি ঘরেই থাকেন পরিবারের সবাই।
শাহিনুনের পরিবারের রয়েছে দুটি বোন, বড় বোন মোছাঃ শাকিলা পারভীন খুশি  সরকারি আকবর আলী  কলেজে অনার্স ৩য় বর্ষে ও ছোট বোন ৭ম শ্রেণিতে  লেখাপড়া  করছেন।
শাহিনুর ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র । তিনি পাটধারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক সমাপণী পরীক্ষায় জিপিএ-৫, পাগলা বোয়ালিয়া  উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫  বৃত্তি পান।
এসএসসিতে জিপিএ-৫ সরকারি আকবর আলী  কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।
ছোট থেকেই শাহিনুর চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন ছিল। স্বপ্ন পূরণের জন্য তিনি অধিকাংশ সময়ই লেখাপড়ার পেছনে ব্যয় করেছেন।
শাহিনুর জানান, স্কুল-কলেজে পড়াশুনার সময় মন চাইলে একটা ভালো পোশাক কিনতে পারতাম না। কারণ আমার জন্ম গরিবের ঘরে। মা-বাবা খুশি হয়ে যা কিনে দিতেন, আমি তাতেই খুশি থাকতাম। স্কুল ও কলেজে পড়াশুনা করা অবস্থায় বিভিন্ন দিক দিয়ে সহযোগিতা করেছেন  তার পরিবার স্থানীয় সকল স্যার। আর এজন্য সকল স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
পাগলা বোয়ালিয়া উচ্চ বিদ‍্যালয়ের  প্রধানশিক্ষক মিজানুর রহমান  বলেন, শাহিনুর অত্যন্ত মেধাবী ছেলে। সে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় আমরা গর্বিত। সে আমাদের বিদ্যালয়সহ ইউনিয়নবাসীর মুখ উজ্জ্বল করেছে।