বসন্ত-ভ্যালেন্টাইন এলো ফুলে ফুলে ।।
বসন্ত এমনিতেই ভালোবাসার ঋতু। ভালোবাসার দু-দুটি দিবসে ফুল দেওয়া-নেওয়ার মধ্য দিয়ে চলবে ভালোবাসার আদান-প্রদান। লাল-হলুদ-বেগুনি গোলাপ, ডালিয়া, ডায়ানথাস, চন্দ্রমল্লিকা, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, জারবেরা, গাঁদাসহ নানা ফুল শোভা পাবে মানুষের হাতে, কিশোরী-তরুণীদের খোঁপায় কিংবা টায়রায়। এদিকে করোনার কারণে বাণিজ্য মুখ থুবড়ে পড়লেও এবার পয়লা ফাল্গুন আর ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে ব্যবসার আশা করছেন ফুল ব্যবসায়ীরা। ফাল্গুন মাস আসার প্রায় চার-পাঁচদিন আগে থেকেই ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে নগরীর ফুলবিতানগুলো। প্রতিবছর পয়লা ফাল্গুনকে ঘিরে ফুলের ব্যবসা জমজমাট হলেও এবার করোনার কারণে উৎসব পালনে স্বাস্থ্যবিধির নির্দেশনা আছে। এরপরও পয়লা ফাল্গুন আর ভ্যালেন্টাইন ডেতে ফুলের বাণিজ্য জমে উঠবে বলেই আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
গত শুক্রবার ঢাকার শাহবাগের ফুলের দোকানগুলো আগাম প্রস্তুতি দেখা গেছে। দোকানগুলোতে থরে থরে সাজানো হয়েছে নানা রকম ফুলের সাজি। বানানো হচ্ছে মেয়েদের মাথায় পড়ার ফুলের রিংসহ হাত ও গলার হার। সবমিলিয়ে ফুলের ঘাটতি নেই দোকানে। ক্রেতার ঘাটতি হবে না বলেও মনে করছেন দোকানিরা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবারের ফাল্গুনের দিন তাদের কাছে ভিন্ন। প্রতি বছর এ মৌসুমে ফুলের ব্যবসা ভালো হলেও এ বছর করোনার কারণে ক্রেতা সংকট আছে। তাই আয়োজন অন্যবারের চেয়ে কম। তবুও প্রস্তুতিতে ঘাটতি রাখছেন না তারা। অরকিড ফ্লাওয়ার শপের মালিক মমিন হোসেন বলেন, ফাল্গুন আর ভালোবাসা দিবস একদিনে। এ সময় ফুলের দাম একটু বেশিই থাকে। দুই দিন আগেই ফুলের দাম বেড়েছে। গত ফাল্গুনের পর করোনা আসার পর ব্যবসার অবস্থা খারাপ। আশা করছি এবার কাস্টমার আসবে।
শাহবাগে দেখা গেছে, প্রতিটি গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, ক্যালেনডোলা ১০ টাকা। তবে ফাল্গুনের দিন দাম বেড়ে ৩০ টাকা থেকে চল্লিশ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে পারে। যদিও পাইকারি দরে ফুলের দাম অনেকটা কম। গোলাপের ‘শ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকায়। এছাড়া গাঁদা ফুলের মালা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। জারবেরা ২০ থেকে ২৫ টাকা পিস। হলুদ রঙের ক্যালেনডোলা বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা পিস দরে।