স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিলেটে সাড়ে তিন সহস্রাধিক মসজিদে ঈদের জামাত
সিলেট সংবাদদাতা :
পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাতের জন্য সিলেটে নির্ধারণ করা হয়েছে তিন সহস্রাধিক মসজিদ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে সুরক্ষায় এমন নির্দেশনা দিয়েছে সিলেটের পুলিশ প্রশাসন। আগামী শুক্রবার (১৪ মে) সারা দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ের পর থাকবে না কোলাকুলি! ফলে এবারো স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভিন্ন আমেজে সিলেটে উদযাপন হবে ঈদ।
সিলেট জেলা ও মহানগর পুলিশের তথ্যমতে, এবার সিলেট জেলা ও মহানগর এলাকায় ৩ হাজার ৭৬৪টি মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
সিলেট জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ২ হাজার ৭১৯টি মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
সিলেট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুঃফর রহমান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে, কোনো ঈদগাহে ঈদের বা খোলা ময়দানে ঈদ জামাত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
অপরদিকে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহের বাংলানিউজকে বলেন, মহানগর এলাকায় এক হাজার ৪৫টি মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। তবে কোনো ঈদগাহে বা খোলা ময়দানে ঈদের জামাত হবে না।
পুলিশের এ দুই কর্মকর্তা বলেন, নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে মসজিদে একাধিক জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করা যেতে পারে।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, প্রাণঘাতি করোনা থেকে সুরক্ষায় দফায় দফায় লকডাউন দিয়েও মানুষকে ঘরে রাখা যায়নি। দমানো যায়নি ঈদে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষের স্রোত। এবার অন্তত ঈদের দিনে যাতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়, সে চেষ্টায় আছে প্রশাসন। এরই মধ্যে সিলেটে ঈদগাহ বা খোলা ময়দানে ঈদের জামাত নিষিদ্ধ করলো সিলেট জেলা ও মহানগর পুলিশ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেটে সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত হবে হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার মসজিদে। এখানে দু’টি জামাত হবে সাড়ে ৮টা ও সাড়ে ৯টায়। শাহপরাণ (রহ.) মাজার মসজিদে জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়, গাজী বুরহান উদ্দিন (রহ.) মাজার মসজিদে পৌনে ৯টায়, নগরের কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে ৪টি জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, সকাল ৭টায়, ৮টায়, ৯টায় ও ১০টায়।
কালেক্টরেট জামে মসজিদে সাড়ে ৮টা ও সাড়ে ৯টায় দু’টি ঈদ জামাত হওয়ার কথা। এছাড়া সিলেটের বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানা গেছে।