চীনের বিরূপ আচরণের শিকার উইঘুর ইমামরা - MB TV

চীনের বিরূপ আচরণের শিকার উইঘুর ইমামরা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ মে ১৩, ২০২১ | ১১:১২ 76 ভিউ
ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ মে ১৩, ২০২১ | ১১:১২ 76 ভিউ
Link Copied!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

 

২০১৪ সালে চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে কঠোর ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর থেকে গত প্রায় ৭ বছরে সেখানে ৬৩০ জন ইমাম ও মুসলিম ধর্মীয় ব্যক্তিকে কারাবন্দী ও আটক করা হয়েছে বলে উঠে এসেছে উইঘুরদের অধিকার নিয়ে কাজ করা একটি গ্রুপের গবেষণা প্রতিবেদনে।

বিজ্ঞাপন

 

উইঘুর হিউম্যান রাইটস প্রজেক্টের সংকলিত এই গবেষণা প্রতিবেদন বিবিসিতে প্রকাশিত হয়। সেখানে আরো বলা হয়েছে, অন্তত ১৮ জন আলেম আটক থাকা অবস্থায় বা আটকের পরপরই মৃত্যুবরণ করেছে।

 

বিজ্ঞাপন

আটক হওয়া আলেমদের বিরুদ্ধে ‘চরমপন্থার প্রচার করা’, ‘সামাজিক শৃঙ্খলার বিঘ্ন করতে ভিড় করা’, ‘বিচ্ছিন্নতাবাদকে উস্কে দেওয়ার’ মতো বিস্তৃত অভিযোগ আনা হয়।

 

তবে আটককৃতদের স্বজনদের ভাষ্য, এই অভিযোগগুলির পিছনে ছিলো শুধু ধর্মপ্রচার করা, নামাজের জন্য আহ্বান করা বা কেবল ইমাম হিসাবে দায়িত্ব পালন করা।

 

১ হাজার ৪৬ জন মুসলিম আলেমের উপর এই দলটি গবেষণা পরিচালিত করে। তাদের বেশিরভাগই  উইঘুর। গবেষণার জন্য আদালতের তথ্য, পরিবারের সাক্ষ্য এবং সরকারি ও বেসরকারি গণমাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্যের ব্যবহার করা হয়।

 

যদিও এক পর্যায়ে ১ হাজার ৪৬ জন আলেমকে আটক করা হয়েছিল বলে তথ্য পাওয়া যায়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এই অঞ্চলে তথ্যের উপর চীনের কঠোর নিয়ন্ত্রণ থাকার কারণে সেই তথ্যের তেমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

 

উইঘুরদের গণআটকের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত চীনের ‘পুনঃশিক্ষা কর্মসূচি’র বিরোধিতা করায় তাদের বিভিন্ন সাজার মুখোমুখি করা হয়।

 

আদালতের নথি বা কারাবন্দীত্বের সাজার মেয়াদ সম্পর্কে পাওয়া সাক্ষ্য থেকে জিনজিয়াংয়ে ন্যায়বিচারের কঠোর প্রকৃতির প্রতিফলন দেখা যায়। সেখানে ৯৬ শতাংশের কমপক্ষে পাঁচ বছরের এবং ২৬ শতাংশের ২০ বছর বা তার বেশি সাজা দেওয়া হয়। ১৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

 

যদিও এসব তথ্য মোট আলেমের সংখ্যার শুধু একটি মাত্র অংশকে প্রতিনিধিত্ব করে এবং তথ্যগুলি স্বতন্ত্রভাবে পরীক্ষা করা হয়নি। তবে জিনজিয়াংয়ের ধর্মীয় ব্যক্তিবর্গের উপর যে টার্গেট করা হয় সেই বিষয়ে আলোকপাত করেছে গবেষণাটি। সেই সঙ্গে উইঘুরদের ধর্মীয় ঐতিহ্য ভেঙে ফেলার এবং হান চীনা সংস্কৃতিতে তাদের অন্তর্ভুক্ত করার যে চেষ্টা চীন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে তার প্রমাণও মেলে।

 

যদিও চীন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, জিনজিয়াংয়ে তথাকথিত ‘পুনঃশিক্ষা কর্মসূচি’র উদ্দেশ্য উইঘুর এবং অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘুদের মধ্য থেকে চরমপন্থা দূর করা।

বিষয়ঃ