ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর চলমান সংঘর্ষ জ্বলছে তেল আবিব, বাড়ছে মৃত্যু


ইসরায়েলের বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
গাজায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে চলমান সংঘর্ষ আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। পাল্টা হামলা চালিয়ে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিব লক্ষ্য করে অন্তত ১৩০টি মিসাইল ছুড়েছে হামাস।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে শুরু করে বুধবার সকাল পর্যন্ত এসব হামলা চালানো হয়।
রকেট হামলার ঘটনায় ইসরাইলের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বেন গুরিওন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিমানবন্দরটি তেল আবিবের পাশেই অবস্থিত।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার গভীর রাতে তেল আবিবের রিশন লেজিওনে এক নারী নিহত এবং অপর একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
বুধবার ভোরেও রাজধানীসহ বের্শেবা, মধ্য ও দক্ষিণ ইসরায়েলের দিকে প্রচুর রকেট নিক্ষেপ করে হামাস বাহিনী। এতে বেশ কিছু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
করোনা মিডেল এ্যাড
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর দ্বারা হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে। এদের মধ্যে একজন নারী এবং ১০ জন শিশু আছে। আর আহতের সংখ্যা ২২০ জনের অধিক।
বিবিসি জানিয়েছে, সোমবার রাত থেকে ইসরায়েলের দিকে অন্তত ৪০০ এর বেশি রকেট নিক্ষেপ করেছে ফিলিস্তিনি বাহিনী। এতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন।
গাজার নিয়ন্ত্রণাধীন ফিলিস্তিনি বাহিনী হামাস বলছে, তারা ইসরায়েলি আগ্রাসন এবং সন্ত্রাসবাদের কবল থেকে জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদকে রক্ষা করছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, চলতি বছর প্রথমবারের মতো জেরুজালেমের দিকে রকেট নিক্ষেপ করে রেড লাইন অতিক্রম করেছে হামাস।
পবিত্র রমজান মাসের শুরু থেকেই জেরুজালেমের অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণ ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে গেছে।
গত শুক্রবার বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ও স্টান গ্রেনেড ছুড়ে পুলিশ। তারপর থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অসংখ্য মানুষ হতাহত হয়েছে।