মহেশখালীর হোয়ানকে প্রবাসী জমি জবরদখলের চেষ্টা, বড় ধরণের সংঘাতের আশংকা
মহেশখালী সংবাদদাতা :
মহেশখালীর হোয়ানক পানিরছড়া এলাকায় একটি কুচক্রি মহল (বার্মাইয়্যা গ্যাং) পেশিশক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে স্থানীয় প্রবাসী হাফেজ নুরুল আমিনের মালিকানাধীন জমি জবরদখলের চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে একই এলাকার পেশাদার দালাল, চাঁদাবাজ শাহাদাত কবির ওরফে কালা বাচ্ছু ও কাইছার নামক দুই ভূমিদস্যুর ইন্ধনে।
সরেজমিন তদন্তে জানা যায়, স্থানীয় জনৈক প্রবাসী হাফেজ নুরুল আমিনের ১৯৮৪ সালে ক্রয়কৃত মালিকানাধীন বসত-ভিটার এক খন্ড জমি নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে তা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। বিজ্ঞ আদালত বিগত ২২/০২/২১ ইং তারিখ তাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সন্ত্রাসী কায়দায় তাণ্ডব চালিয়ে ঘর নির্মাণের চেষ্টা করে। ১ লা মার্চ ভোর ৬ টায় সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধভাবে প্রবাসী নুরুল আমিনের বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট, ভিটায় থাকা গাছ কেটে ফেলে। এবং একটি টং ঘর নির্মাণ করে। বাঁধা দিতে চাইলে সন্ত্রাসীরা জমির মালিক নুরুল আমিনের ছেলে কুতুব উদ্দিন, স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম, পুত্রবধু কামরুন্নাহার, মুর্শিদাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে আহতদেরকে দ্রুত মহেশখালী হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সাথে সাথে ঘটনাটি মহেশখালী থানার ওসি মহোদয়কে অবহিত করলে তৎক্ষনাৎ তিনি ফোর্স পাঠালে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। প্রশাসন চলে গেলে আবার এসে টং ঘরে অবস্থান করে।
এ ঘটনায় জমির মালিক প্রবাসী হাফেজ নুরুল আমিন বাদি হয়ে মোঃ মাহবুব আলম (৪৫) ও মোঃ ছাদেককে (২০) প্রধান আসামী করে আরো ৭ জনসহ অজ্ঞাত ৫ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
এদিকে গেলো বৃহস্পতিবার (২৫ই মার্চ) মহেশখালী সার্কেল এএসপি জাহেদুল ইসলাম ঘটনার তদন্তে গেলে সন্ত্রাসীরা এলাকা ছাড়া হয়ে যায়। পরে স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনার সত্যতা জানতে ঘটনাস্থলে গেলে আসামী ছৈয়দ হোসেন ওরফে ড্রাইভার সৈয়দ হোছন নামে এক সন্ত্রাসী ও তার বড় বোন সোনা খাতুন সাংবাদিকদের সাথে মারমুখী হয়ে অপ্রত্যাশিত আচরণ করে। একই দিন পুলিশ ও সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল থেকে চলে আসলে প্রবাসী নুরুল আমিনের ছেলে কুতুব উদ্দিনের উপর ফের হত্যা চেষ্টা চালায় সন্ত্রাসীরা এবং নুরুল আমিনের ছেলে ইসলামি ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মোস্তফা ছাদেক আরমানকে গতিরোধ করে চাঁদা দাবী করে এবং গুম করার চেষ্টা চালায়। পরে সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধারে সহযোগিতা করে।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, মহেশখালী থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশের ঘুষ লেনদেনে স্থানীয় সন্ত্রাসী সৈয়দ হোসেন ড্রাইভার সরাসরি যোগসাজশ ছিলো বলে জানা যায়। বর্তমানে সৈয়দ হোসেনসহ প্রধান আসামি এখনো পলাতক রয়েছে। এই সন্ত্রাসীরা গ্রেফতার না হওয়ায় এখনো পরিবারটি তাদের কাছে জিম্মি হয়ে রয়েছে। নির্মিত টং এ রাত্রে মদ -জুয়ার আসর ও নারী-পুরুষের অবৈধ আড্ডা চলছে প্রতিদিন। এনিয়ে যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরণের সংঘাতের আশংকা করছেন স্থানীয়রা।