জেরুজালেমের সাবেক গ্র্যান্ড মুফতিকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েল - MB TV

জেরুজালেমের সাবেক গ্র্যান্ড মুফতিকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েল

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ মার্চ ১১, ২০২১ | ১২:৩৭ 56 ভিউ
ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ মার্চ ১১, ২০২১ | ১২:৩৭ 56 ভিউ
Link Copied!

নিউজ ডেস্ক : 

ইসরায়েলি বাহিনী বুধবার সকালে জেরুজালেমের সাবেক গ্র্যান্ড মুফতি এবং আল-আকসা মসজিদের ধর্মপ্রচারক শেখ একরিমা সাবরিকে গ্রেপ্তার করেছে। আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, ইসরায়েলি পুলিশ এবং গোয়েন্দা কর্মকর্তারা সাবরি বাড়ি ঘিরে রাখে এবং পরে তাকে সঙ্গে করে নিয়ে যায়।

 

বিজ্ঞাপন

নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাবরির একজন আত্মীয় জানিয়েছেন, কি কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা জানায়নি ইসরায়েলি বাহিনী। ৮২ বছর বয়সী সাবরি পূর্ব জেরুজালেমের আল-সুওয়ান্নাহ এলাকায় থাকেন। এর আগে বেশ কয়েকবার তাকে গ্রেপ্তার করেছিল ইসরায়েলি বাহিনী।

 

সাবরি স্ত্রী উম্ম আম্মার আরবি নিউজ ওয়েবসাইট আরাবি ২১-কে বলেছেন, বুধবার সকাল ১০টার দিকে তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে পশ্চিম জেরুজালেমের রাশিয়ান কম্পাউন্ড জেলে নিয়ে যাওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

 

উম্ম আম্মার আরও বলেন, শেখকে কি কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা জানায়নি দখলদার বাহিনী। পবিত্র আল-আকসা মসজিদে শুক্রবারের নামাজের খুতবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। সেসময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

এদিকে বুধবার একদল ইসরায়েলি চরমপন্থী পুলিশের সুরক্ষা নিয়ে আল-আকসা মসজিদে ঢুকে পড়ে বলে জানায় জেরুজালেম ডিপার্টমেন্ট অব ইসলামিক রিলিজিয়াস এনডাউমেন্টস। এই চরমপন্থীদের মধ্যে ডানপন্থী রাব্বি ইয়েহুদা গ্লিকও ছিলেন।

 

ইসলাম ধর্মে আল-আকসা মসজিদ তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। তবে ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় পূর্ব জেরুজালেমসহ এই মসজিদটি দখল করে নেয় ইসরায়েল।

 

সেনাবিরোধী বিক্ষোভ ঠেকাতে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী ‘যুদ্ধক্ষেত্রের অস্ত্র’ ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মিয়ানমারে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহিংসতার ভিডিও ও ছবি পর্যালোচনা করে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাটি।

 

অ্যামনেস্টি জানায়, মিয়ানমারে বিক্ষোভকারীদের ওপর যে ‘কৌশলগত ও পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ চালানো হচ্ছে, তার ভিজ্যুয়াল প্রমাণ হিসেবে বিভিন্ন ভিডিও ক্লিপ রয়েছে। এছাড়া এই সহিংসতা ঠেকাতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

 

অ্যামনেস্টির ক্রাইসিস এভিডেন্স ল্যাব মিয়ানমারে চলমান বিক্ষোভের ৫০টিরও বেশি ভিডিও যাচাই করে বলছে, দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিক্ষোভ ঠেকাতে ‘পরিকল্পনামাফিক ও পদ্ধতিগত কৌশল’ব্যবহার করছে। অ্যামনেস্টির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট যে মিলিটারিরা যুদ্ধক্ষেত্রের জন্য উপযুক্ত অস্ত্র দিয়ে সজ্জিত রয়েছে।

 

এদিকে, গত সোমবার রাতভর তুমুল উত্তেজনা-উৎকণ্ঠার পর গত মঙ্গলবারও মিয়ানমারের একাধিক শহরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে অভ্যুত্থানবিরোধীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিরাপত্তা বাহিনী আন্দোলনকারীদের দমনের পাশাপাশি এবার গণমাধ্যমের লাইসেন্স বাতিল করা শুরু করেছে।

 

এদিকে, চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী পরিচালিত ব্যবসায়ের ওপর আরও বৃহৎ পরিসরে নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

 

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, মিয়ানমারে বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৫৬ জনের বেশি। তবে, অন্যান্য প্রতিবেদনে এ সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। চলমান বিক্ষোভের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী দিন ছিল গত ৩ মার্চ। মিয়ানমারের বিভিন্ন নগর ও শহরে সেদিন ৩৮ জন বিক্ষোভকারী নিহত হন।

 

সূত্র : আলজাজিরা ও রয়টার্স

বিষয়ঃ